প্রত্যয় ডেস্ক রিপোর্ট : শনিবার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশ করেন সংগঠনের নেতারা।যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো.মাইনুল হোসেন খান নিখিল শনিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির সদস্যদের নাম জানান।এর আগে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার অন্তর্গত শ্রীপুর পৌরসভার কৃতি সন্তান সাবেক ছাত্রনেতা লন্ডনের হলবোর্ন কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক জি.এস. ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম সজীব বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এই বিষয়ে জানার জন্য ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম সজীবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যে লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মুজিব বাহিনীর প্রধান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণিকে একটি যুব সংগঠন প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা দিয়েছিলেন সেই সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।স্বাধীনতা উত্তর এদেশের সমস্ত ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সব আন্দোলন সংগ্রামে প্রথম সারিতে ছিলো। জননেত্রী দেশ রত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগকে তার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য শহীদ শেখ ফজলুল হক মণির হাতে গড়া সংগঠনের দায়িত্ব দিয়েছেন তারই ছেলে অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ ভাইয়ের হাতে। এই সংগঠনটি ওনার বাবার রেখে যাওয়া আমানত এবং ওনার ফুফি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে এই দায়িত্ব দিয়েছেন তার যথাযথ মর্যাদা তিনি রক্ষা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যা ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকেই প্রতিয়মান হয়।দেশের সমস্ত পেশার মেধাবী পরিশ্রমী ব্যাক্তিদের, সাবেক ছাত্রনেতাদের তিনি সংগঠনে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সুযোগ্য চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ ভাইয়ের প্রতি এবং সংগ্রামী সাধারণত সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল ভাইয়ের প্রতি।
তিনি আরো বলেন,মানুষের জন্য কাজ করতে পদ পদবী মুখ্য বিষয় নয়।তবে পদ পদবী থাকলে কাজের গতি বাড়ে, সাধারণ কর্মীদের সাথে একটা সেতুবন্ধন তৈরির সুযোগ হয় যা দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো সহজ হয়।
কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার জন্ম একটি মুসলিম পরিবারে,একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে এবং গাজীপুরের একটি প্রবীণ আওয়ামী পরিবারে। আমার শ্রদ্ধাভাজন বড় চাচা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. হারিছ উদ্দিন আহমদ বতর্মান পি.পি. গাজীপুর জেলা জজকোর্ট, আমার শ্রদ্ধাভাজন পিতা আলহাজ্ব রমিজ উদ্দিন আহমদ শ্রীপুর পৌরসভার বারবার নির্বাচিত সাবেক সফল কাউন্সিলর, আমার বড় ভাই সাবেক ছাত্র নেতা শ্রীপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক।
কাজেই আমি আমার পরিবারের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা,আমার ছাত্রজীবনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সংগঠনের ভাব মূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখার সর্বাত্বক চেষ্টা করবো এবং সংগঠনের স্বার্থে ইতিবাচক কাজের দ্বারা আমাকে যে পদ দেওয়া হয়েছে তার যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন একদিনের জন্যও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত না হই।